শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১১

বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ১৯৯৯-২০০৯

বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ১৯৯৯-২০০৯
সৈয়দ মাহবুবুল আলম, নীতিবিশ্লেষক

বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সরকার, তামাক নিয়ন্ত্রণ সংগঠন ও গনমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তামাক নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যমকর্মী ও বেসরকারী সংগঠনের কর্মীদের ১৯৯৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ধারাবাহিক সক্রিয় কার্যক্রমের ফসল তামাক নিয়ন্ত্রণের ল্েয সরকারের গৃহীত ব্যাপক নীতিগত পদপে। তামাক নিয়ন্ত্রণে গৃহীত এ সকল নীতিগত পদপে বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে সুদৃঢ় করেছে। বিগত বছরে পাবলিক প্লেস ও পরিবহন ধূমপানমুক্তকরণ, তামাক কোম্পানির বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ, তামাকের তিকর সচেতনতা বিষয়ে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে ধারাবাহিকভাবে আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন, আইন উন্নয়ন, তামাক কোম্পানির বিজ্ঞাপন কার্যকরভাবে নিষিদ্ধ এবং তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করা সম্ভব হলে দেশে কার্যকরভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।

১৯৯৯ সালের পূর্বে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে স্বাস্থ্যতি এবং বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করা হতো। ১৯৯৯ সালের বিএটি গোল্ডলীফের প্রচারণা ভয়েজ অব ডিসকভারী শীর্ষক কার্যক্রম প্রতিহত করার ল্েয কার্যরত সংগঠনগুলো সম্মিল্লিত উদ্যোগ গ্রহণ করে। ১৯৯৯ সালে নভেম্বর মাসে হাইকোর্ট ভয়েজ অব ডিসকভারীর সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলনিশি জারি করে। ফলে তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রত্য ও পরো বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধের দাবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদপে যোগ হয়। উল্লেখ্য যে, সে সময়ে তামাক কোম্পানিগুলো জনসাধারণকে তামাক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার ল্েয লটারীসহ বিভিন্ন প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ বছর বিএটির ভয়েজ অব ডিসকভারী প্রতিহত করার মধ্য দিয়ে কার্যকরভাবে তামাক কোম্পানির বিভিন্ন প্রলুব্দ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের ল্েয একটি আইন প্রণয়নে বিষয়টি উঠে জোরালোভাবে আসে।

২০০০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে তামাক বিরোধী সচেতনতামূলক কার্যক্রম ঝড়ঁঃয ঊধংঃ অংরধ অহঃর-ঞড়নধপপড় (ঝঊঅঅঞ) মশাল নিয়ে সারা দেশে প্রচারণা কার্যক্রম শুরু করে। বেসরকারী সংগঠনগুলো এ মশাল নিয়ে জনসচেতনতার ল্েয দেশব্যাপী বিভিন্ন প্রচারণা কার্যক্রম গ্রহণ করে। এ কার্যক্রমের সংবাদ নিয়মিত প্রচারের মাধ্যমে গণমাধ্যমও জনসচেতনতার ল্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালণ করে। ২০০০ সালে অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে তামাক ব্যবহারের প্রেেিত দারিদ্রতা ও অপুষ্টি বিষয়ে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়। যা তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে একটি ভিন্নমাত্রা যোগ করে। এ বছর মাননীয় হাইকোর্ট ভয়েজ অব ডিসকভারীর রীটের প্রেেিত ভয়েজ অব ডিসকভারীর কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করে এবং সরকারকে তামাক নিয়ন্ত্রণের ল্েয সুস্পষ্ট কিছু নির্দেশনা প্রদান করে, যার মধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন অন্যতম।

২০০১ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে দতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ প্রদান করা হয়। এ বছর তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োজনীয়তা, আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি এফসিটিসি, তামাক ব্যবহারের স্বাস্থ্য, অর্থ ও পরিবেশের তির বিষয়টি প্রধান্য পায়। এ বছর তামাক নিয়ন্ত্রণে বেসরকারী সংগঠনগুলোর দতা ও সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির ল্েয ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের এ সংবাদগুলো জাতীয় ও স্থানীয় প্রচার মাধ্যমে গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয়। তামাক বিরোধী সচেতনতার ল্য স্বাস্থ্য কার্যক্রমের পাশাপাশি, ঋণ দান, সঞ্চয়, পুষ্টি, মানবাধিকার ইত্যাদি কার্যক্রমের সাথেও তামাক ব্যবহার সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রম সম্পৃক্ত করা হয়। উল্লেখ্য যে, এ বছর প্রথমবারের মতো সারা দেশের বিভিন্ন সংগঠন স্থানীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে।

২০০২ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন, এফসিটিসি, তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে সারা দেশে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করে। তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সংগঠনগুলোর দতা ও জ্ঞান বৃদ্ধির প্রেতি সংগঠনগুলো জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নীতি নির্ধারকদের সাথে তামাক নিয়ন্ত্রণের কার্যকর বিভিন্ন নীতি ও আইন প্রণয়নের বিষয়ে আলোচনা শুরু করে। ফলে এ বিষয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সচেতনতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের তামাক নিয়ন্ত্রণের এ মতামতসমূহ ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরার ল্েয গণমাধ্যম সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করে।

২০০৩ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন, এফসিটিসি স্বার বৃদ্ধির বিষয়ে প্রচারণা বৃদ্ধি বিষয়ে ব্যপক কর্মসূচী গৃহীত হয়। গণমাধ্যমের কর্মীরা এ সংবাদগুলো গুরুত্বের সাথে প্রচার মাধ্যমে তুলে ধরে। এ বছরের উল্লেখযোগ্য সফলতা হচ্ছে এফসিটিসি স্বার। বাংলাদেশ বিশ্বে সর্বপ্রথম এফসিটিসি চুক্তিতে স্বারকারী দেশ হবার গৌরব লাভ করে। এছাড়া এ বছর ইম্পিরিয়াল টোব্যাকো কোম্পানি তাদের টেমস নামক একটি সিগারেটের এ দেশে বাজারজাত করণের ল্েয টেমস খান লন্ডন যান শীর্ষক লোভনীয় ও প্রতারণামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারনা শুরু করে। এ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত বেসরকারী সংগঠনগুলো আদালতে মামলা করে এবং মাননীয় আদালত তামাক কোম্পানির প্রতারণামূলক এ কার্য়ক্রম নিষিদ্ধ করে।

২০০৪ সালে এফসিটিসি র‌্যাটিফাই এবং এফসিটিসির আলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের দাবি জোরদার হয়। সংগঠনগুলো র‌্যালী, মানববন্ধন, সভা-সেমিনার, স্বার কর্মসূচী ইত্যাদি মাধ্যমে জনমত সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করে। গণমাধ্যম এ দাবিকে সারা দেশের মানুষের কাজে পৌছে দেয়। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের তামাক বিরোধী আন্দোলনের জোরালো হওয়ায় সরকার এফসিটিসি র‌্যাটিফাই এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।

২০০৫ সালে বাংলাদেশ সরকার বহুল প্রত্যাশিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করে। দেশের সকল গণমাধ্যম এ বিষয়ে গুরুত্বের সাথে প্রচার করে। সারা দেশের মানুষের মাঝে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ে ইতিবাচক সমর্থন পাওয়া যায়। পাবলিক প্লেস ও পরিবহনের ধূমপান অনেকাংশে হ্রাস পায়, বিলবোর্ড-সাইনবোর্ড ও গণমাধ্যমসহ তামাক কোম্পানির সকল প্রচারনা কার্যক্রম বন্ধ হয়, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সারাদেশে তামাক কোম্পানির বিজ্ঞাপন অপসারিত হয়। বেসরকারী সংগঠনগুলো তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মনিটরিং এ মাধ্যমে আইন বাস্তবায়নে অবস্থা প্রশাসন ও গনমাধ্যমের কাছে তুলে ধরে। দেশের বিভিন্ন স্থানে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিঘিœত হলে গণমাধ্যম গুরুত্বের সাথে বিষয়টি তুলে ধরে। বেসরকারী সংস্থা ও গনমাধ্যমের যৌথ মনিটরিং এর ফলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গ করে তামাক কোম্পানির বিভিন্ন প্রচারণা কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সরকার আইনী পদপে গ্রহণ করে।

২০০৬ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন এবং আইনের কয়েকটি ধারা আরো বিশ্লেষণ করে বিধিমালা পাশ, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মনিটরিং, আইন বাস্তবায়নের ল্েয জনমত সৃষ্টির ল্েয গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালণ করে। এ বছর আইন বাস্তবায়নের ল্েয ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম গৃহীত হয়। এ বছরের উল্লেখযোগ্য সফলতা হচ্ছে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা পাশ, আইন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের বেসরকারী সংস্থাগুলোর দতা বৃদ্ধির ল্েয ব্যাপক পদপে গ্রহণ করা হয়।

২০০৭ সালে তামাক কোম্পানির আইন ভঙ্গের বিষয়টি গণমাধ্যম তুলে ধরে। এ বছর সরকার আইন বাস্তবায়নের ল্েয সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। এছাড়াও এ বছরের উল্লেখযোগ্য সফলতা হচ্ছে, তামাক নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল গঠন, তামাক নিয়ন্ত্রণ জাতীয় ও স্থানীয় টাস্কফোর্স গঠন। এছাড়া এ বছরের উল্লেখযোগ্য অপর একটি বিষয় হচ্ছে সিগারেটের উপর ট্যারিফ বৃদ্ধি। কিন্তু কোম্পানিগুলোর কুটকৌশলে সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি না পাওয়ার প্রেেিত কাঙ্খিত ল্য অর্জন ব্যহত হয়েছে।

২০০৮-০৯ এ বছরগুলোর সারা দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতের ব্যাপক প্রচারণা করা হয়। বিশেষ করে ধূমপানমুক্ত স্থান গঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, দি ইউনিয়ন, টিএফকের সহযোগিতার সারা দেশে ব্যাপক কার্যক্রম গৃহীত হয়। পাবলিক প্লেস ও পরিবহনগুলোর বিপুল সংখ্যক ধূমপানমুক্ত সাইন সম্বলিত স্টিকার, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়। পর্যবেনমূলক গবেষণায় দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকার পাবলিক প্লেস ও পরিবহন ধূমপান ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এ বছরগুলোতে তামাক কোম্পানিগুলোর সাইনবোর্ডসহ নানা ধরনের প্রত্য বিজ্ঞাপন ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। কিন্তু তামাক কোম্পানিগুলোর পরোভাবে ব্যপক বিজ্ঞাপন শুরু করে।

বেসরকারী সংগঠনগুলোর তামাক কোম্পানিগুলোর পরো বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে জোরালো জনমত সৃষ্টি করে। দেশের বিভিন্ন স্থানে তামাক কোম্পানিগুলোর পরো বিজ্ঞাপন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। ইষড়ড়সনবৎম ওহরঃরধঃরাব এর আওতায় তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করার ল্েয সারা দেশে বিভিন্ন কার্যক্রম গৃহীত হয়। এরই ধারাবাহিকতা সারা দেশের বিভিন্ন স্থানের জেলা ও উপজেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স সক্রিয়ভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ বছরগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ল্েয সারা দেশের জনমত সৃষ্টি ও সুপারিশ তৈরি করা হয়।






যে কোন কিছুর একটি দীর্ঘস্থায়ী ফলাফল পেতে সময়ের প্রয়োজন। দেশে ব্যাপকভাবে তামাক ব্যবহার হ্রাস একটি সময় সাপে প্রক্রিয়া। এ ধরনের কাঙ্খিত ফলাফল পেতে শুধু নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনেক দেশকে অপো করতে হয়েছে এক যুগের বেশী সময়। কিন্তু ১৯৯৯-২০০৯ মাত্র ১০ বছরের এ নীতিগত অর্জনগুলো তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে সুদৃঢ় করেছে। এ নীতিগত কার্যক্রমগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন আমাদের কাঙ্খিত ল্েযর দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা আশা করি, আগামী দিনগুলোতে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতামূলক কার্যক্রম দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণকে গতিশীল করবে। ফলে দেশে তামাকজনিত রোগ,মৃত্য, অর্থ অপচয় বহুলাংশে হ্রাস পাবে। বাংলাদেশ বিশ্বে তামাক নিয়ন্ত্রিত দেশে হিসেবে মাথা উচু করে দাড়াবে।

গত বছরগুলোতে আমাদের অর্জন অনেক। দেশে কার্যক্ররভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ করার ল্েয আমাদেরকে আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যের উপর ব্যাপক হারে মূল্য বৃদ্ধি করতে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি আইনটির দূর্বলতা কাটিয়ে উঠতে আইনটি সংশোধন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের অন্যতম ইতিবাচক দিক হচ্ছে, এ সেক্টরে সরকারী সংস্থাগুলো, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক তামাক বিরোধী সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মীরা সম্মিলিতভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করে থাকে। আমরা আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে কার্যকরভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন