শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১১

তামাক নিয়ন্ত্রণে সাম্প্রতিক কার্যক্রম এবং
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন উন্নয়নে প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক সেমিনার
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ঢাকা

তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সরকার, গণমাধ্যম ও তামাক বিরোধী সংগঠনগুলোর সম্মিল্লিত কার্যক্রমের ফসল এ অর্জন। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ এর প্রেেিত তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ, পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপান হ্রাস, প্যাকেটের গায়ে জোরালো স্বাস্থ্যসতর্কবানী এ সকল বিষয়গুলো অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

তামাক ব্যবহার হ্রাসে এ অর্জনগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদপে হলেও, আরো অনেক বিষয় রয়েছে যা নানাবিধ কারণে যথেষ্ট অগ্রগতির সম্ভাবনা থাকলেও যথেষ্ট অগ্রগতি হয়নি। এ সকল কার্যক্রমগুলোর মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের কর বৃদ্ধি, ধূমপান ত্যাগে সহযোগিতামূলক কার্যক্রম, তামাক চাষের পরিবর্তে বিকল্প খাদ্যশষ্য উৎপাদনে সহযোগিতা প্রদান, প্রত্য পরো বিজ্ঞাপন সম্পূর্ন নিষিদ্ধ, প্যাকেটের গায়ে সচিত্র সতর্কবাণী প্রদান, শতভাগ ধূমপানমুক্ত স্থান সৃষ্টি সংক্রান্ত বিষয়গুলো এখনো নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।

গত বছরের দেশের বিভিন্ন স্থানে তামাক চাষ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। অপর দিকে তামাক কোম্পানিগুলোও আইনকে পাশ কাটিয়ে নানাভাবে প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তামাক চাষ বৃদ্ধির এহেন পরিস্থিতিতে গত মাসে বান্দরবন জেলা জজ আদালতে তামাক চাষের প্রেেিত বিভিন্ন তি বন্ধে প্রতিকার চেয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়, যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। অপর দিকে মহামাহ্য হাইকোর্ট আগষ্ট ২০১০ অধিকার ভিত্তিক সংগঠন অপরাজয় বাংলাদেশ ও আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আবেদনের প্রেেিত বিড়ি শিল্পে শিশু শ্রম বন্ধের নির্দেশনা প্রদান করেন। যা তামাক শিল্পে শিশু শ্রমিক নিয়োগ বন্ধে একটি যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিগণিত হবে। ইতিমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় তামাক চাষের সকল ধরনের ভর্তুকী বন্ধের ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তামাক চাষের জন্য ঋণ সহযোগিতা বন্ধে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করেছে। তামাক নিয়ন্ত্রণে এ সকল নির্দেশনা বা সিদ্ধান্তসমূহকে একটি আইনী কাঠামোতে নিয়ে আসা প্রয়োজন। যা তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সুসংবদ্ধ ও গতিশীল করবে।

আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) বাংলাদেশ সরকার ২০০৪ সালে র‌্যাটিফাই করে। এ চুক্তি অনুসার র‌্যাটিফাইয়ের পাঁচ বছরের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের সকল ধরনের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা সম্ভব হয়নি। পুর্বেই বলা হয়েছে কোম্পানিগুলো আইনের ফাকফোকর দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছে। অপর দিকে তামাক ব্যবহারকারীদের সচেতন করতে সম্প্রতি সময়ে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র সতর্কবানী প্রদানের বিষয়ে অনেক দুর অগ্রগতি হলেও বাংলাদেশে অগ্রগতি যথেষ্ট নয়।

আশার কথা হচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আইনটি সংশোধনের ল্েয উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জনস্বাস্থ্য রায় আইনটি সংশোধনের প্রক্রিয়া দ্রুত করা প্রয়োজন। তামাক চাষের বৃদ্ধি, তামাক কোম্পানিগুলোর আইন লঙ্গন করে বিভিন্ন কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ঋঈঞঈএর বাধ্যবাধকতা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় আইনটি সংশোধন করার কার্যক্রম জোরদার করার ল্েয এটি একটি উৎকৃষ্ট সময়। আইন প্রয়োগে সরকারের অভিজ্ঞতা, এফসিটিসি গাইড লাইন, তামাক বিরোধী সংগঠন এবং গণমাধ্যমের সুপারিশগুলো সংকলণ করে আইনটি সংশোধন করা হলে, বাংলাদেশের আইনটি জনস্বাস্থ্য রায় শক্তিশালী আইনে পরিণত হবে।

আগামী নভেম্বর ২০১০ উরুগুয়ে অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে ঋঈঞঈএর ঈড়হভবৎবহপব ড়ভ ঃযব চধৎঃরবং (ঈঙচ)- এর সভা। যাতে বাংলাদেশ ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবে। উক্ত সভার পূর্বে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি সংশোধনের প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করা হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমুর্তি আরো উন্নত হবে।

বিদ্যমান আইনের উল্লেখ্যযোগ্য প্রতিবন্ধকতা
ক্স ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনটিতে শুধু ধূমপানের উপাদানগুলো (বিড়ি, সিগারেট, সিগার, চুরুট ইত্যাদি) অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য যেমন: সাদাপাতা, জর্দ্দা, গুল ইত্যাদি চর্বনযোগ্য তামাকজাত দ্রব্যকে এর সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অর্থাৎ শুধুমাত্র ধোয়াঁযুক্ত তামাকই আইনের অন্তর্ভুক্ত। ধোঁয়াবিহীন (ঝসড়শবষবংং) তামাক এর অর্ন্তভুক্ত নয়।

ক্স এক কামরায় অধিক পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপানের স্থানের বিধান রয়েছে। পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য জরিমানা অত্যন্ত কম।

ক্স বিগত দিনে যান্ত্রিক পাবলিক পরিবহন ধূমপানমুক্ত কার্যক্রম অনেকাংশে সফল হয়েছে। তবে বিদ্যমান আইনে অযান্ত্রিক পাবলিক পরিবহনগুলো ধূমপানমুক্ত নয় এবং কর্মস্থল, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, রেষ্টুরেন্ট এবং সেলুনকে ধূমপানমুক্ত স্থানের আওতায় আনা হয়নি। আইনে এফসিটিসি অনুসারে পাবলিক প্লেস ও পরিবহনের সংজ্ঞায়িত করা হয়নি।

ক্স ধূমপানমুক্ত স্থান রাখতে ব্যর্থ হলে পাবলিক প্লেস ও পরিবহনের মালিক ব্যবস্থাপক বা তত্ত্বাবধায়কদের জরিমানা বা শাস্তির বিধান রাখা হয়নি অর্থাৎ ধূমপানমুক্ত স্থান তৈরিতে বাধ্যবাধকতার বিধান নেই।

ক্স তামাক কোম্পানির আন্তরাষ্ট্রীয় ও পরো বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয়।

ক্স তামাক কোম্পানিগুলো কোম্পানির নাম লোগো ব্যবহার করে সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচীর নামে তামাকজাত দ্রব্যের প্রসারের ল্েয পরো বিজ্ঞাপন এবং বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে ।

ক্স বাংলাদেশে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নিরর। বিদ্যমান লিখিত স্বাস্থ্য সতর্কবানী এসকল নিরর লোকদের জন্য বোধগম্য নয়।

ক্স বিদ্যমান আইনে যে সকল েেত্র তামাক কোম্পানির জরিমানার বিধান রয়েছে তার পরিমান অত্যন্ত কম এবং কয়েকটি েেত্র তামাক কোম্পানিকে জরিমানার কোন বিধান নেই।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি সংশোধনের েেত্র সুপারিশসমূহ

সংজ্ঞা সংক্রান্ত
১. ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের শিরোনামের সাথে মিল রেখে আইনটিতে শুধু ধূমপানের বিষয়টি নয় অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য যেমন: গুল, জর্দ্দা, খৈনী, সাদাপাতা, সিগার এবং পাইপে ব্যবহার্য মিশ্রন (মিস্কার) সহ সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্যকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

২. “কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কমকর্তা” এর সংজ্ঞায় কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পরিধি বৃদ্ধি এবং সহজে জরিমানা আদায় ও আইন প্রয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা;
৩. দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ অযান্ত্রিক পরিবহনে যাতায়াত করে। জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে ধূমপানমুক্ত পরিবহনের পরিধি বৃদ্ধির ল্েয অযান্ত্রিক পাবলিক পরিবহনগুলোকেও ধূমপানমুক্ত পাবলিক পরিবহনের সংজ্ঞার আওতায় নিয়ে আসা এবং জনবহুল স্থানগুলোর গুরুত্ব বিবেচনায় পাবলিক প্লেস ও পরিবহনের সংজ্ঞা বিস্তৃত ও সুনির্দিষ্ট করা প্রয়োজন।

ধূমপানমুক্ত স্থান :
১. পাবলিক প্লেস ও যান্ত্রিক, অযান্ত্রিক সকল পরিবহনে ধূমপানের স্থান সংক্রান্ত বিধান বাতিল করে ১০০% ধূমপানমুক্ত করা ;
২. এফসিটিসি অনুসারে পাবলিক প্লেস ও পরিবহনের সংজ্ঞায়িত করা;
৩. বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল রেষ্টুরেন্টসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও জনসমাগমস্থলকে পাবলিক প্লেসের আওতায় নিয়ে আসা;
৪. ধূমপানমুক্ত স্থান তৈরি করতে এবং রাখতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপরে শাস্তির বিধান করা;
৫. পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জরিমানা কমপে ৫০০ টাকা করা;
৬. প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ধূমপানমুক্ত সাইন বাধ্যতামূলক করা;




সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী
১. তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৫০ শতাংশ জায়গা জুড়ে তিকর দিক তুলে ধরে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রদান;
২. তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়স্থলে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ও নির্দেশিত সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রর্দশন ।
৩. তামাকজাত পণ্যের মোড়কে কোন প্রকার ব্র্যান্ড এলিমেন্ট বা অন্য কোন উপায়ে লাইট, মাইল্ড, লো-টার, স্মুথ বা এ জাতীয় শব্দ, চিহ্ন বা ডিজাইন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা;
৪. প্যাকেট ব্যতীত এবং দশ শলাকার নিচে তামাকজাত দ্রব্য ক্রয় বা বিক্রয় নিষিদ্ধ করা;
৫. সচিত্র সতর্কবাণী ছয় মাস পরপর পরিবর্তন বাধ্যতামূলক করা এবং এর প্রতিবেদন সরকারের নিকট দাখিল বাধ্যবাধকতা করা;

তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ
১. তামাকজাত দ্রব্যের সকল ধরনের প্রত্য ও পরো বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা;
২. নাটক সিনেমায় তামাক ব্যবহারের দৃশ্য মানুষকে তামাক সেবনে উদ্বুদ্ধ করে। এ ধরনের দৃশ্য দেশের জনগন বিশেষ করে তরুণ সমাজকে ধূমপানে উদ্বুদ্ধ করছে সিনেমা, নাটক, প্রামান্যচিত্রসহ অন্য মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের দৃশ্য প্রচার বা প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা;
৩. আন্তঃরাষ্ট্রীয় তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা।
৪. তামাকজাত দ্রব্যের মোড়ক বা কৌটার অনুরূপ বা সাদৃশ্যে অন্য কোন প্রকার দ্রব্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা;
৫. সামাজিক দায়বদ্ধতার(ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃব ঝড়পরধষ জবংঢ়ড়ংরনষরঃু) নামে তামাক কোম্পানির নাম, লোগো ব্যবহার করে প্রচারনা নিষিদ্ধ করা;

তামাক কোম্পানির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ
১. স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী হতে তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতি ও আইন সুরায় এফসিটিসির আর্টিকেল ৫.৩-র বিষয় আইনের সংযুক্ত করা;
২. তামাক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে যে কোন নাগরিককে মামলা করার অধিকার প্রদান এবং জরিমানা ও শাস্তির পরিমান বৃদ্ধি;
৩. তামাক কোম্পানী কর্তৃক আইনভঙ্গের প্রেেিত কোম্পানিগুলোকে অভিযুক্ত, দোষী সাব্যস্ত করে জরিমানা ও শাস্তির বিধান করা এবং বর্তমান আইনে যে সকল েেত্র শাস্তির বিধান রয়েছে তার পরিমান বৃদ্ধি করা;
৪. তামাক কোম্পানির বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত ধারা, সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী সংক্রান্ত ধারাসহ আইনের কোন ধারা লঙ্ঘন করলে কমপে কোম্পানির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান/ব্যবস্থাপনা পরিচালক/পরিচালক এর যে কেউ বা সবার কমপে ছযমাস জেল বা দশ ল টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান সংযুক্ত করা;
৫. কোম্পানি আইনগত ব্যক্তিসত্ত্বা বিশিষ্ট সংস্থা (ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃব ইড়ফু) হইলে, আইনে উল্লিখিত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত ও দোষী করা ছাড়াও উক্ত কোম্পানিকে আলাদাভাবে একই কার্যধারায় অভিযুক্ত ও দোষী সাব্যস্ত করা যাবে, তবে ফৌজদারী মামলায় উহার উপর সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসারে শুধু অর্থদন্ড আরোপ করা যাবে;

তামাক জাতীয় ফসল চাষ, উৎপাদন এবং তামাক ব্যবহার নিরুৎসাহিতকরণ
১. তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা প্রণয়নের বিধান সংযুক্ত করা;
২. সরকারী ও বেসরকারীভাবে তামাক কোম্পানিকে ঋণ প্রদান, সার বরাদ্ধ, কর মওকুফ বা অন্যান্য সুবিধাদি বন্ধের বিধান করা। তামাক জাতীয় ফসল বা তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদনের জন্য কোন ধরনের ভুর্তকী বা ঋণ বা অন্য কোনরূপ সহযোগিতা প্রদান করা যাবে না;
৩. তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধি এবং শুল্কমুক্ত তামাক বিক্রয় বন্ধে ঋঈঞঈ অনুসারে নীতিমালা প্রণয়ন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদপে গ্রহণের বিধান যুক্ত করা;

আইন মনিটরিং, বাস্তবায়ন ও অর্থায়ন
১. তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে আইনটি মনিটরিং ও মূল্যায়নের বিষয় সংযুক্ত করা;
২. সরকারীভাবে তামাক বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির ল্েয প্রয়োজনীয় নীতিমালার বিধান সুস্পষ্টভাবে যুক্ত করা;
৩. তামাক কোম্পানিগুলো হতে আলাদা স্বাস্থ্য কর (ঐবধষঃয ঞধী) আদায়ের বিধান যুক্ত করা।

তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। বাংলাদেশের এ সকল পদপে আন্তজার্তিকভাবেও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তামাক নিয়ন্ত্রণে ল্েয বিদ্যমান সীমাবদ্ধতাগুলো অতিক্রম করা সম্ভব দেশে সম্মান ও ভাবমুর্তি আরো উজ্বল হবে। কিন্তু তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিদ্যমান সীমাবদ্ধতাগুলো অতিক্রম আইনটি সংশোধন করা ছাড়া কোনভাবেই সম্ভব নয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন