শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১১

বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও করণীয়

বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও করণীয়
সৈয়দ মাহবুবুল আলম


তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবস্থান ও কার্যক্রম নিয়ে অনেকেরই মতামত রয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আংশিকভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে মূল্যায়ন বা পর্যবেক্ষণের কারণে দেশের সার্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিত সম্পর্কে কেউ কেউ নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। দেশের সার্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম মূল্যায়ণ করলে তামাক নিয়ন্ত্রণে দেশের ব্যাপক অগ্রগতি পরিলক্ষিত হবে। একটি বিষয় আমাদের পরিষ্কার হওয়ার প্রয়োজন। তামাক নিয়ন্ত্রণ একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। একদিনে বা কয়েক বছরের তামাক ব্যবহার নিয়ন্ত্রন করার সম্ভব নয়।

একদিকে সরকার ও তামাক নিয়ন্ত্রণকর্মীরা অব্যাহত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তামাক ব্যবহার হ্রাস করতে, অপরদিকে তামাক কোম্পানিগুলো তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যবসার প্রসারের জন্য তামাক সেবনে উদ্বুদ্ধ করেেছ। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধির মধ্যে কার্যক্রর পদপেগুলোকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে। নানা বিভ্রান্তকর প্রচারণার মাধ্যমে জনগনকে বিভ্রান্ত করে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে।

তামাক কোম্পানিগুলোর বিভ্রান্তকর প্রচারণার কারণে অনেক েেত্র তামাক নিয়ন্ত্রণে তড়িৎ ও কঠোর পদপে গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে সম্প্রতি যখন তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তখন তামাক কোম্পানিগুলো কর্মসংস্থান হ্রাস পারে, রাজস্ব তি হবে এ ধরনের বিভ্রান্ত তথ্য তুলে কর বৃদ্ধির বিরোধীতা করে। যদিও একটি বিষয় খুবই পরিষ্কার তামাকের কারণে লাভবান হয় কোম্পানির মালিক আর তিগ্রস্ত হয় চাষী, উৎপাদনে নিয়োজিত শ্রমিক এবং ব্যবহারকারী। তবে আমরা আশা করি ৫৭,০০০ মানুষের মৃত্যু এবং ৩৮২,০০০ হাজার মানুষের পঙ্গুত্বের কারণ এই মরণঘাতী পণ্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ধীরে ধীরে আরো কঠোর পদপে গ্রহণ করবে। নানা সীমাবদ্ধতার পরও বাংলাদেশ সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ বেশ কিছু ইতিবাচক পদপে রয়েছে।

এ পর্যায়ে বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণের বর্তমান অবস্থার কিছু বিষয় তুলে ধরছি:

১. তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন:
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ বিষয়ে আলোচনার শুরুতে এ আইনের বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে কেহ কেহ অভিমত ব্যক্ত করেন। কিন্তু এষড়নধষ অফঁষঃ ঞড়নধপপড় ঝঁৎাবু এবং ওঞঈ ইধহমষধফবংয ঘধঃরড়হধষ জবঢ়ড়ৎঃ ড়হ ঊাধষঁধঃরড়হ ড়ভ ঞড়নধপপড় ঈড়হঃৎড়ষ চড়ষরপরবং রহ ইধহমষধফবংয ২০০৯ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে অগগতি হয়েছে। মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি, পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপান হ্রাস পেয়েছে, দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানে ধূমপানমুক্ত সাইনসহ স্থান সংরতি হচ্ছে। প্রিণ্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়েছে, সিগারেটের প্যাকেটে লিখিত বানী প্রচার হচ্ছে, যা নিঃসন্দেহে আইন প্রণয়নের ফলাফল। এ অর্জন সরকার, তামাক নিয়ন্ত্রণ সংগঠন ও গণমাধ্যমের সম্মিল্লিত প্রয়াস।

তবু বলা যেতে পারে আইনের অগ্রগতি প্রত্যাশিত মাত্রায় নয়। এখনো আইন অনুসারে সকল পাবলিক প্লেস ও পরিবহন ধূমপানমুক্ত নয়। এসকল স্থানে ধূমপানমুক্ত সাইন স্থাপনও সম্ভব হয়নি। তামাক কোম্পানিগুলো আইন লঙ্গন করে পরো বিজ্ঞাপন প্রচার করছে, কিছু কোম্পানি প্যাকেটের গায়ে আইন অনুসারে সতর্কবাণী প্রচার করছে না, তামাক চাষের বিকল্প ফসলের সুবিধা নিশ্চিত করা যায়নি, তামাক ব্যবহার ও শিল্প স্থাপনে নিরুৎসাহিত করতে নীতিমালা বা কোন ধরনের পদপে গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

২. তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন :
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন এখন সময়ের দাবি। আইনের সীমাবদ্ধতার কারণেও অনেক েেত্র আইনটি সুফল জনগনের নিকট তুলে দেওয়া যাচ্ছে না। আশার কথা হচ্ছে সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি উন্নয়নের ল্েয একটি কমিটি গঠন করেছে। উক্ত কমিটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মতামতের উপর ভিত্তি করে ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ের নিকট একটি খসড়া প্রস্তাবনা পেশ করেছে। উক্ত খসড়া প্রস্তাবনার বিষয়ে পুনরায় সকলের নিকট মতামত আহবান করা হয়েছে। আমরা আশা করি সরকার এফসিটিসি-র আলোকে আগামী ঈড়হভবৎবহপব ড়ভ ঃযব চধৎঃু (ঈঙচ) -র সভার পূর্বে আইনটি সংশোধন করবে।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন উন্নয়ন বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনা প্রেেিত তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মীরা পাবলিক পেস ও পরিবহনে ধূমপানের স্থান সংক্রান্ত বিধান বাতিল করা; সকল তামাকজাত দ্রব্যকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা; প্রত্য, পরো তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৫০% শতাংশ জুড়ে তিকর দিক তুলে ধরে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রদান; সামাজিক দায়বদ্ধতার নামে তামাক কোম্পানির নামে লগো ব্যবহার করে প্রমোশনার কার্যক্রম নিষিদ্ধ; তামাকজাত দ্রব্যের মোড়ক বা কৌটার অনুরূপ বা সাদৃশ্যে অন্য কোন প্রকার দ্রব্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে যে কোন নাগরিককে মামলা করার অধিকার প্রদান; আইনভঙ্গের প্রেেিত তামাক কোম্পানিগুলোর জরিমানা ও শাস্তির পরিমান বৃদ্ধি; তামাকের বিকল্প চাষ ও কর বৃদ্ধির জন্য নীতিমালা প্রণয়ন, তামাক কোম্পানিগুলো হতে স্বাস্থ্যকর (ঐবধষঃয ঞধী) নামে কর আদায়, কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিধি বৃদ্ধি এবং ধূমপানমুক্ত স্থান তৈরির করতে ব্যর্থ হলে সংশিষ্ট কর্তৃপরে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়গুলো আইনেরযুক্ত করার সুপারিশ করেন।

৩. তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধি:
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা যায় তামাক ব্যবহার হ্রাসে তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধি একটি কার্যকর উপায়। তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি এফসিটিসি অনুসারে তামাকজাত দ্রব্যের উপর বৃদ্ধির ল্েয সরকার পদপে গ্রহণ করা প্রয়োজন। অথচ বিগত কয়েক বছরে তামাকজাত দ্রব্যের উপর মুদ্রাস্ফীতি অনুসারে কর বৃদ্ধির কোন পদপে গ্রহণ করা হয়নি। বরং অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের তুলনায় তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সস্তায় তামাকজাত দ্রব্য প্রাপ্তির প্রেেিত তামাক ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিগত বছরে সরকার তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধি পদপে গ্রহণ করলেও কোম্পানিগুলোর ভ্রান্ত প্রচারণার কারণে তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়নি।

তামাক কোম্পানিগুলো কর বৃদ্ধি হলে রাজস্ব এবং কর্মসংস্থান হ্রাস পাবে বলে কর বৃদ্ধির বিরোধীতা করে থাকে। গবেষণায় দেখা যায়, কর বৃদ্ধি হলে তামাক ব্যবহার হ্রাস পেলেও দাম বৃদ্ধির প্রেেিত সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। বিশ্ব ব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশ তামাক নিয়ন্ত্রণ হলে ১৮.৭% চাকুরি বৃদ্ধি পাবে।

তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধির মাধ্যমে আদায়কৃত অতিরিক্ত রাজস্ব সরকার প্রয়োজনে দরিদ্র লোকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ব্যয় করতে পারে। প্রায়শই কোম্পানিগুলো অনেক টাকা রাজস্ব দেয়া বলে নিজেদের জাহির করতে চায়। আমাদের একটি কথা স্মরণ রাখা প্রয়োজন কোম্পানিগুলো মূলত সংগৃহীত ভ্যাট রাজস্ব খাতে জমা দেয়, ভ্যাট পুরোটা জনগনের টাকা। মাত্র ১৫% ভ্যাটের টাকা রাজস্ব খাতে দিয়ে, সরকারের উপর রোগ ও অসুস্থ্যতার বোঝা চাপিয়ে কি পরিমান অর্থ লাভ হিসেবে নিয়ে যাচ্ছে তা সহজেই অনুমেয়। আমরা আশা করি জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সম্মত কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে এ বাজেটে সরকার সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধির পদপে গ্রহণ করবে।

৪.খাদ্যের জমিতে, তামাক চাষ- আমাদের শংকা:
এ বছর বাংলাদেশে তামাক চাষ আংশকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এক নির্দেশনায় তামাক চাষ ও তামাক উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কোন প্রকার আর্থিক সাহায্য না করার জন্য দেশের সব সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক-কে নির্দেশনা জারি করে । তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এর এই নির্দেশনা দেশের জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ, অর্থনীতি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস। তামাক কোম্পানিগুলো বিভিন্ন মিথ্যা প্রলোভনের মাধ্যমে চাষীদের তামাক চাষের জন্য উদ্বুদ্ধ করছে।

অধিক জনসংখ্যার সীমিত ভুখন্ডের এ দেশ। খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ, জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলছে। পাশাপাশি তামাক চাষ দরিদ্রতা ও অপুষ্টি ঘাটতি বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তামাক পাতা শুকানোর জন্য প্রতিবছর দেশের বনাঞ্চল ধবংস হয়ে যাচ্ছে, বিনষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। তামাক চাষের সময়ে স্কুলে বাচ্চাদের উপস্থিতির হার কমে যায়। তামাক চাষ অনেক শ্রমের প্রয়োজন ও কঠিন কাজ। তামাক চাষের সঙ্গে সম্পৃক্তদের হাঁপানিসহ শ্বাস ও চর্মজনিত রোগের বিস্তার ল্য করা যায়। এছাড়া মারত্মক বার্জাজ ডিজিজ এর মত ভয়াবহ রোগও ল করা যাচ্ছে। তামাক চাষের কারণে জমির উর্বরতা শক্তি কমে যায় এবং ১০ বছর পর সে জমি সম্পূর্ণভাবে চাষ অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এসব দিক বিবেচনায় নিয়ে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে আরো কঠোর কার্যক্রম দরকার।

৫. তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক দতা বৃদ্ধি ও সচেতনতা
তামাক নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের দতা বৃদ্ধির ল্য বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগ দতা বৃদ্ধির পদপে গ্রহণ করা হচ্ছে। তামাক বিরোধী সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, এনজিও, সিবিও, সিভিল সোসাইটি ও গনমাধ্যমের কর্মীদের তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে দতা বৃদ্ধির ল্েয বিভিন্ন সংগঠন কাজ করছে। বিগত বছরে সরকারীভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও দি ইউনিয়নের সহযোগিতায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের সাথে জড়িত সরকারী কর্মকর্তাদের দতা বৃদ্ধির ল্েয কর্মশালা আয়োজন করা হয়। তবে এ ধরনের কর্মশালা আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে বিভিন্ন কর্মশালা ও সেমিনারে অভিমত ব্যক্ত করা হয়।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পালণ ও তামাকজাত দ্রব্যের তিকর দিক বিষয়ে এখনো সরকারীভাবে সীমিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। তবে সরকারের সহযোগি স্বেচ্ছাসেবী তামাক নিয়ন্ত্রণ সংগঠনগুলো এেেত্র সক্রিয়ভাবে তামাক বিরোধী সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এর মধ্যে বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, পোষ্টার, স্টিকার, লিফলেট, ভ্রাম্যমান গানের দল, পথ নাটক, বিভিন্ন ক্যাম্পেইন অন্যতম। তবে জনসংখ্যার অনুপাতে এ সকল কার্যক্রম খুবই অপ্রতুল। সরকারকে এেেত্র সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক দতা বৃদ্ধি ও সচেতনতা েেত্র সরকারী ও স্বেচ্ছাসেবী তামাক নিয়ন্ত্রণ সংগঠনগুলো মাঝে আরো বেশি সমন্বয় সাধন জরুরি।

৬. তামাক নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যমের ভূমিকা
তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সক্রিয় ও অগ্রণী ভূমিকা পালণ করে আসছে। ভয়েজ অব ডিসকভারী প্রতিহত, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস, এফসিটিসি র‌্যাটিফাই, স্বাস্থ্য সচেনতা, তামাক চাষের ভয়াবহতা ও তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধি ইত্যাদি বিষয়ে জনমত সৃষ্টিতে গণমাধ্যম সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ বেশ কয়েকবার পত্রপত্রিকায় আইন বিষয়ে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। ধারাবাহিকভাবে তামাক বিরোধী সচেতনতার ল্েয সরকারী পৃষ্টপোষকতায় গণমাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম জরুরি।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদপে থাকলেও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে তা গণমাধ্যমে কর্মীদের নিকট পৌছে না। সরকারীভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকার ও দেশের ইতিবাচক উদ্যোগগুলো গণমাধ্যমের নিকট পৌছে দেয়া প্রয়োজন। এ ধরনের পদপে গণমাধ্যমকে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের সঠিক ও সময়পোযোগী তথ্য খুজে বের করতে সহযোগিতা করবে।

৭. ধূমপান ত্যাগে সহযোগিতা
তামাক ব্যবহার হ্রাসে ধূমপান ত্যাগে সহযোগিতা একটি অন্যতম উপায়। কিন্তু বাংলাদেশ এ প্রক্রিয়া এখনো জোরালোভাবে শুরু করা সম্ভব হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় সীমিত পর্যায়ে বিআইডিসি রাজশাহী এবং এখলাসপুর সেন্টার অব হেলথ নামক তামাক বিরোধী সংস্থা কুইট কার্যক্রম সফলতার সাথে পরিচালনা করে। মানবিক নামক অপর একটি সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতা ডক্টর ফর হেলথ এবং কুইট লাইনের মাধ্যমে কিছু সময় কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। দেশের ক্রমবর্ধমান তামাক ব্যবহারকারীর কথা বিবেচনা করে সরকারী পৃষ্টপোষকতায় এ ধরনের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

৮. ঘধঃরড়হধষ ঝঃৎধঃবমরপ চষধহ ড়ভ অপঃরড়হ ভড়ৎ ঞড়নধপপড় ঈড়হঃৎড়ষ
তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে গতিশীল করার ল্েয বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘধঃরড়হধষ ঝঃৎধঃবমরপ চষধহ ড়ভ অপঃরড়হ ভড়ৎ ঞড়নধপপড় ঈড়হঃৎড়ষ ২০০৭-২০১০ প্রণয়ন করে। দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে দিক নির্দেশনা প্রদানের এ পরিকল্পনা পত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এ বছর এ দলিলের সময় সীমা শেষের প্রেেিত এ দলিল মূল্যায়ন ও পুণপ্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

৯. জাতীয়, জেলা ও উপজেলা ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) টাস্কফোর্স
তামাক আইন বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকার জাতীয়, জেলা ও উপজেলা ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) টাস্কফোর্স গঠণ করেছে। প্রশাসন, মিডিয়া ও তামাক বিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত এ কমিটি তামাক নিয়ন্ত্রণে একটি শক্তি কেন্দ্র। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে জাতীয়, জেলা ও উপজেলা ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) টাস্কফোর্স-র সভায় নিয়মিত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না এবং কার্যক্রমও গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

কার্যক্রম পরিচালনার েেত্র মনিটরিং-র অভাব, আর্থিক সীমাবদ্ধতা, প্রয়োজনীয় উপকরনের অভাবসহ নানা বিধি কারণ জেলা ও উপজেলা ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) টাস্কফোর্স কমিটির কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। তথাপিও দেশের অনেক স্থানের টাস্কফোর্স তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে অনেক অনুকরণীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ সকল কমিটিরগুলোকে প্রশিন, উপকরণসহ নানা সুবিধা মনিটরিং-র মাধ্যমে নিশ্চিত করার সম্ভব হলে স্থানীয় পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে।
১০. আন্তজার্তিক অঙ্গনে বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ
তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রেেিত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভাবমূর্তি উজ্বল করেছে। মোবাইল কোর্ট, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) টাস্কফোর্স, সরকারী ও তামাক নিয়ন্ত্রণ সংগঠনগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতামূলক কার্যক্রম, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন অপসারণ, ভয়েজ অব ডিভকভারীর কার্যক্রম বন্ধ, নিত্য নতুন তামাক বিরোধী আন্দোলন, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে কার্যরত ব্যাপক সংখ্যাক তামাক নিয়ন্ত্রণ সংগঠন সম্পৃক্তকরণ ইত্যাদি বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক অনেক প্রতিষ্ঠানগুলোই বাংলাদেশ থেকে শিখছে। সরকারী, তামাক নিয়ন্ত্রণ সংগঠন এবং গণমাধ্যমের যৌথ কার্যক্রমের ফসল এই আন্তর্জাতিক অর্জন ও সম্মান। বাংলাদেশের অনেক তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মী আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ পদেেপ স্বেচ্ছাসেবী বা পেশাগতভাবে দায়িত্ব পালণ করে যাচ্ছে।

তবে, অনেক েেত্রই আমাদের নিজেদেরও জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিভিন্ন দেশ হতে এ সকল বিষয়গুলো শেখার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভারের কারণে অনেকের পইে এ জ্ঞান লাভ করা সম্ভব হয় না, এমনকি নিজেদের অভিজ্ঞতা ও অর্জনগুলো তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। এ েেত্র সুযোগ ও সুবিধা সৃষ্টিতে সরকারকে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসা প্রয়োজন, যাতে যোগ্য লোকজন তাদের অভিজ্ঞতাগুলো বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে দিতে পারে এবং বিশ্ব হতেও নিজের দেশের জন্য শিখতে পারে।

১১. তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক গবেষণা:
তামাক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আলোচনার েেত্র এক সময় আমাদের বিদেশী ডাটা বা তথ্য ব্যবহার করতে হতো। আমাদের জন্য আনন্দের ও আশার কথা হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সিডিসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কারিগরি সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকার জাতীয়ভাবে এষড়নধষ অফঁষঃ ঞড়নধপপড় ঝঁৎাবু (এঅঞঝ) সার্ভে সম্পন্ন করেছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ওয়াটার লু বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঞঈ ইধহমষধফবংয ঘধঃরড়হধষ জবঢ়ড়ৎঃ ড়হ ঊাধষঁধঃরড়হ ড়ভ ঞড়নধপপড় ঈড়হঃৎড়ষ চড়ষরপরবং রহ ইধহমষধফবংয ২০০৯ নামক অপর একটি জাতীয় পর্যায়ের গবেষণা সম্পন্ন করেছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ ইতিপূর্বে বাংলাদেশ তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক গবেষণা হচ্ছে ২০০৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওসঢ়ধপঃ ড়হ ঞড়নধপপড় ৎবষধঃবফ রষষহবংং রহ ইধহমষধফবংয এবং ২০০০ ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট-র এবং পাথ কানাডার ঐঁহমৎু ভড়ৎ ঞড়নধপপড় শীর্ষক গবেষণা। এই গবেষণাটি তামাক ও দারিদ্রতা বিষযে বিশ্বের প্রথম গবেষণা। উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০৪ সালে তামাকের সাথে দরিদ্রতার সম্পর্ক তুলে ধরতে বিশ্ব তামাকম্ক্তু দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে। ব্র্যাক ২০০২ সালে ঞড় ঢ়ৎড়ফঁপব ড়ৎ হড়ঃ ঃড় ঢ়ৎড়ফঁপব: ঞধপশষরহম ঃযব ঃড়নধপপড় উরষবসসধ শীর্ষক গবেষণা করে।

ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, এইচআরডিসি ট্রাস্ট, উন্নয়ন সমন্বয়, উবেনীগ, ক্যাব, মানবিক, আরটিএম ইত্যাদি সংগঠনগুলো বিড়ি ব্যবহার, তামাক নিয়ন্ত্রণ, তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধি, তামাক চাষ, প্যাকেট ওয়ানিং ইত্যাদি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে গবেষণা সম্পন্ন করেছে। এ সকল গবেষনাগুলো জাতীয় সম্পন, যা দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে গতিশীল করবে। তথ্যাপিও দেশে তামাক ব্যবহার ত্যাগে সমস্যা, আইন বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতা, আইন পালণে করণীয় ইত্যাদি বিষয়েও গবেষণার প্রয়োজনীতা রয়েছে।

১২. তামাক নিয়ন্ত্রণে কারিগরি সহযোগিতা
তামাক নিয়ন্ত্রণে বরাবরই আর্থিক সহযোগিতা সীমিত ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, হেলথ ব্রিজ, এফসিএ, ইউআইসিসি, আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি সীমিতভাবে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে। ২০০৭ সাল হতে ইষড়ড়সনবৎম, ঢ়যরষধহঃযৎড়ঢ়রংঃ দি ইউনিয়ন এবং টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সংগঠন ও সরকারকে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও তামাক নিয়ন্ত্রণের ল্েয তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত সংগঠনগুলোকে সহযোগিতা প্রদান করেছে।

বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দেশে যেখানে স্থানীয় পর্যায়েও অনেক সংগঠন তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। অনেক সংগঠনের পে নানাবিধ কারণে বাইরের প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা গ্রহণ করা সম্ভব নয়। এ সকল স্থানীয় সংগঠনগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকারীভাবে আর্থিক ও কারিগরি যোগান সৃষ্টি করা প্রয়োজন। স্থানীয় সরকার, দেশীয় দাতা গোষ্ঠীগুলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সহযোগিতার ল্েয উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন। যা দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে গতিশীল করবে।




১৩. বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট :
বাংলাাদেশ তামাক বিরোধী জোট তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যরত সংগঠনগুলোর একটি সম্মিল্লিত মঞ্চ। তামাক নিয়ন্ত্রণের নীতি প্রণয়নে এডভোকেসি, নীতি বাস্তবায়নে সহযোগিতা, সংগঠনগুলোর কার্যক্রমে সমন্বয় সাধন, দতা বৃদ্ধি, সরকারী ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপন, সদস্য সংগঠনের স্বার্থরা জোটের অন্যতম কার্যক্রম।

সাংগঠনিক, সহযোগি ও নেটওয়ার্ক এই তিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সারা দেশের সংগঠনগুলো এ নেটওয়ার্কর সাথে যুক্ত রয়েছে। ৩০ এপ্রিল ২০১০ অনুসারে বর্তমানে এর সাথে যুক্ত সংগঠনের সংখ্যা ৬৮৫ টি। এ সংগঠনগুলো অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও উন্নয়ন, কর বৃদ্ধি, ইত্যাদি ইস্যূভিত্তিক কমিটি, ৬টি বিভাগীয় ফোকাল পয়েন্ট এবং বিভিন্ন সংগঠনের একদল তরুন স্বেচ্ছাসেবীর কমিটি জোটের সচিবালয় পরিচালিনা করছে। জোট একটি স্বেচ্ছাসেবী তামাক বিরোধী আন্দোলনের মঞ্চ।

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট-র সদস্য সংগঠনগুলো তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মনিটরিং, আইন বাস্তবায়নে প্রশাসনকে সহযোগিতা, ধূমপানমুক্ত স্থান সৃিষ্ট, আইন উন্নয়ন জনমত, কর বৃদ্ধির বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিসহ নানাবিধ কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালিত করছে।

১৪. পরিশিষ্ট
তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অর্জন অনেকখানি। কিন্তু তামাক কোম্পানিগুলো প্রতিনিয়ত দেশের এই অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করতে অব্যাহত প্রয়াশ চালাচ্ছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ ও তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো বিষয়ে নৈতিবাচক প্রচারণা তাদের এ সকল কার্যক্রমের অন্যতম হাতিয়ার। কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসার স্বার্থে নানাভাবেই দেশের তামাক বিরোধী কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে।

তামাক কোম্পানির তাদের মুনাফার উদ্দেশ্যে মানুষকে রোগ ও মৃত্যুর দিকে ঢেলে দিচ্ছে, অপর দিকে তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মীদের উদ্দেশ্য মানুষের স্বাস্থ্যকে রা করা। মানুষের স্বাস্থ্য অপো অর্থ কখনোই মুখ্য হতে পারে না। সরকার, প্রশাসন, তামাক নিয়ন্ত্রণ সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মীদের পারস্পরিক সহযোগিতা ও পদপে কোম্পানির অশুভ উদ্দেশ্য প্রতিহত করে জনগনের স্বাস্থ্যকে রা করবে এ আমাদের বিশ্বাস।

সুপারিশ:
ক্স তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের মনিটরিং জোরদার, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ধূমপানমুক্ত সাইন স্থাপন;
ক্স এফসিটিসি-র আলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দ্রুত পদপে গ্রহণ;
ক্স বিড়ি-সিগারেটসহ সকল তামাকজাত দ্রব্যের উপর উচ্চহারে কর বৃদ্ধি করা। কর বৃদ্ধির অর্থ দরিদ্র বিড়ি শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য ব্যয় করা;
ক্স পরিবেশ, অর্থ, স্বাস্থ্য রায় তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদপে গ্রহণ;
ক্স আইন বাস্তবায়নের সাথে সম্পৃক্ত প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দতা বৃদ্ধির ল্েয পদপে গ্রহণ;
ক্স তামাক বিরোধী সচেতনতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধির ল্েয সরকারীভাবে উদ্যোগ গ্রহণ;
ক্স সরকারীভাবে নিয়মিত গণমাধ্যমকে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কার্যক্রম বিষয় তথ্য প্রদানের প্রক্রিয়া তৈরি;
ক্স ধূমপানত্যাগে সহায়ক কর্মসূচী তৈরি করা;
ক্স ঘধঃরড়হধষ ঝঃৎধঃবমরপ চষধহ ড়ভ অপঃরড়হ ভড়ৎ ঞড়নধপপড় ঈড়হঃৎড়ষ ২০০৭-২০১০ মূল্যায়ণ এবং পুণপ্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ;
ক্স আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টির ল্েয পদপে গ্রহণ;
ক্স জেলা ও উপজেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স-র প্রশিন, উপকরণসহ নানা সুবিধা ও মনিটরিং নিশ্চিত করা;
ক্স স্থানীয় সরকার, দেশীয় দাতা গোষ্ঠীগুলোর সহযোগিতায় স্থানীয় পর্যায়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় পদপে গ্রহণ;

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন